যশোর কেশবপুরে এলাকায় সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। একইসাথে রাতের কুয়াশা ও ভোরে ঘাস কিংবা লতাপাতায় বিন্দু বিন্দু শিশির কণায় জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শীত মৌসুমকে সামনে রেখে যশোরের কেশবপুর উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুঁই সুতা হাতে নিয়ে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। এদিকে শীতের আগমনে লেপ-তোষকের দোকানে দোকানে ক্রেতাদের কেনাকেটা করতে দেখা গেছে।
সবমিলেয়ে নভেম্বর মাসের শুরুতেই শীতের এমন আগমনের ফলে যেমন ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা, ঠিক তেমনি শীত নিবারণের জন্যে ক্রেতাদের কেনাকাটা ছাড়াও অনেকেই বিগত বছরের তুলে রাখা শীতবস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করেছেন।
এছাড়া শীতের বস্ত্র কেনার জন্য বিভিন্ন গার্মেন্টেসের দোকানে মহিলা ক্রেতাদের আগমন লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে কেশবপুর শহর ঘুরে দেখা গেছে, কলেজ লাইব্রেরি এন্ড বেডিং হাউজ, মহসীন বেডিং, বাবুল বেডিং, সাগর এন্ড সোহান বেডিং ও মায়ের দোয়া বেডিং হাউজে বিগত বছরের ন্যায় চলতি বছরেও লেপ-তোশক কিনতে ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছে।
শহরের কলেজ লাইব্রেরি এন্ড বেডিং হাউজের মালিক খোরশেদ আলম বলেন, ৫ হাত প্রস্থ ও ৪ হাত দৈর্ঘ্যের শিমুল তুলার একটি লেপ কভারসহ বিক্রি করছি ২২শ টাকা। এছাড়া কাপাশ তুলোর তৈরি অনুরূপ একটি লেপের বিক্রয়মূল্য ১৬শ টাকা। একটি লেপ তৈরি করতে সাড়ে চার কেজি থেকে পাঁচ কেজি তুলা লাগে।
আমাদের এখানে লেপতোশক তৈরির অর্ডার দিলে ১/২ দিনের ভিতরে সেটি ডেলিভারি দিয়ে থাকি। লেপ-তোশক তৈরির কারিগর বাবলু রহমান বলেন, সে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি লেপ তৈরি করতে পারে।
প্রতিটি লেপ তৈরিতে ২শ টাকা করে মুজুরি পায়। শহরের কলেজ লাইব্রেরি এন্ড বেডিং হাউজে শুক্রবার বিকেলে মেয়ে-জামাইকে দেওয়ার জন্য উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রাম থেকে হামিদুল ইসলাম এসেছেন শীতে লেপ কিনতে। তিনি বলেন, শীতের শুরুতেই মেয়ের বাড়িতে লেপ পাঠানোর জন্যই আগেভাগে কিনছেন।
আরো পড়তে >>> ক্লিক করুন।